রংপুরের মিঠাপুকুরে আমনের ব্যাপক ফলন দেখা গেছে। এখন চলছে ফসল ঘরে উঠানোর প্রস্তুতি। উপজেলার সতেরো ইউনিয়নের কৃষকরা ফসল দেখে স্বস্তি পেলেও মুখে হাসি নেই।
মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি বিভাগ জানান, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ৩৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। গতবারের মত এবারও সমান হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আমনের। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার টন। গতবছর আমনের উৎপাদন হয় ১ লাখ ৬৪ হাজার টন। এখন পর্যন্ত ৬০ ভাগ জমির আমন ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলার ইমাদপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হোসেন জানান, তিনি এবার ৮০ শতাংশ জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। ধানের ফলন ভাল হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে ধান কেটে জমিতে রেখে দিয়েছেন। একই এলাকার কৃষক দেলওয়ার হোসেন এ বছর পাঁচ একর জমিতে ধান চাষ করেছেন। তিনিও জানান, এবার ধান উৎপাদন ভাল হয়েছে।
উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের কাঁঠালী গ্রামের রবিউল ইসলাম রবি বলেন, বিঘা প্রতি কাটা এবং বাড়িতে আনাসহ ৩০০০ টাকা মজুরি দিয়ে তিনি ৫ বিঘা জমির ধান কেটে নিয়েছেন।
বাজারে নতুন ধানের মন বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা। তার হিসেবে বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ১৬ মন। সার, বীজ কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে খরচ হয় প্রতি বিঘা ১৪ হাজার টাকা। তার মতে সেই হিসেবে ধান চাষে লাভ নেই বললেই চলে।
উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠজুড়ে পেকে আছে সোনালি ধান। এ বছর পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টিপাত এবং তুলনামূলক ধানের রোগবালাই কম থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি গুটি স্বর্ণা ১৬ থেকে ১৮ মণ এবং চিকন ধান ১৫ থেকে ১৬ মণ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে।
এদিকে সার, বীজ ও কীটনাশকের দামের পাশাপাশি শ্রমিকের পারিশ্রমিক বেশি হওয়ায় আশানুরূপ লাভ করতে পারছেন না কৃষকরা।
মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন বলেন, এ বছর ধানের ফলন ভাল হয়েছে। এবার ৭ হাজার ৩০০ কৃষককে কৃষি প্রণোদনা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর রোপা আমন ধানের চাষ না বাড়লেও উৎপাদন বেড়েছে।
টিএইচ